ধারাবাহিক উপন্যাসঃ তথাস্তুঃ রঙ্গন রায়। অষ্টম-নবম পর্ব


  গোসানী মঙ্গল কাব্য অবলম্বনে

রঙ্গন রায়

 

আগে যা হয়েছিল

দেবী চণ্ডী ভগবান শিবের কাছে বর চাইলেন প্রাগজ্যোতিষপুরের পশ্চিম অংশের রাজাহীন রাজ্যে নতুন রাজা আনয়নের। নিজ পূজাপ্রচার করবার বাসনাও তাঁর ছিল। নিষ্ঠাবান শিবভক্ত দম্পতি জামবাড়ী গাঁয়ের ভক্তীশ্বর অঙ্গনা, দেবীর বরে পুত্রলাভ করল। যার নাম রাখা হল কান্তনাথ। বড় হয়ে সে কামতা এলাকার রাজা হবে, এই ছিল আশীর্বাদ। কান্তনাথের বয়স পাঁচ বছর হলে তাকে গুরুগৃহে শিক্ষালাভের জন্য পাঠানো হয়। গুরু পড়াতে গিয়ে বুঝতে পারেন কান্তনাথ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। কিন্তু দরিদ্র ভক্তীশ্বর তাকে প্রয়োজনীয় বস্ত্র কিনে দিতে অপারগ। দেবী চণ্ডী তা জানতে পেরে সেই অভাবও পূরণ করলেন। তারপর ...

 

আট

ধর্মরাজের আলয়, মহাবিশ্বের দক্ষিণাঞ্চল

 

শীতল বাতাসে ধর্মরাজের কেশ উড়ছিল। তিনি বাতায়নের পাশে দাঁড়িয়ে একটি তন্তুলূকার জাল বিন্যাস লক্ষ করছিলেন। বাতাসে বারবার পতিত হচ্ছে প্রাণীটি। তবু কী অসীম ধৈর্য! পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নয়। মানব প্রজাতির মধ্যে এমন ধৈর্য তিনি কখনও দেখেননি। তাই অধিকাংশেরই মোক্ষ লাভ হয় না।

এই নিপুণ শিল্প রচনা দেখতে দেখতে এক সময় হঠাৎ মনে পড়ল, সময় বয়ে যাচ্ছে। তাঁকে শীঘ্র সভায় যেতে হবে। অনেক কর্ম স্থগিত।

প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে, যাত্রা করবার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে, ঘরে প্রবেশ করলেন যমুনা। তাঁর ভগিনী। আবার, অর্ধাঙ্গিনী-ও। এই বিষয়টি নিয়ে এক সময় চারিদিকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। নিজ ভগিনীকে বিবাহ অন্যায়। সনাতন মানসিকতায় এই চিন্তা এবং কীর্তি করবার অভিপ্রায় কেমন করে হতে পারে, ইত্যাদি নানা কথা।

সমস্ত কিছু বোঝার পরে, একটাই প্রশ্ন ছিল তাঁর।

"কিন্তু ভালবাসা?"

এই অমোঘ অনুভূতির কাছে সমস্ত যুক্তি-তর্ক-আইন, সব হার মেনে যায়!

যমুনা নিকটে এসে ধর্মরাজের হাতে, তাঁর ন্যায়বিচারের দণ্ডটি এগিয়ে দিলেন। পরস্পরের মধ্যে হাস্যবিনিময় হল।

বাইরে মহিষের শকট অপেক্ষা করছিল। বেরিয়ে এসে, দ্রুত চড়ে বসলেন তিনি। আজ নীল রঙের বস্ত্র পরিধান করেছেন। তাতে সূর্যের আলো পড়ে উজ্জ্বলতা আরও বর্ধিত করছে। নীল বর্ণ, যমুনারও বড় প্রিয়।

 

প্রতীকী দড়ির ফাঁদ হস্তে ধারণ করে, সিংহাসনে বসে, বাতাস প্রদানকারী কর্মচারীটিকে বাতাস করবার অনুমতি দিয়ে, ধর্মরাজ বললেন, "চিত্রগুপ্ত! আজকের প্রধান কাজগুলো আরম্ভ করা যাক।"

"যথা আজ্ঞা মহারাজ।"

চিত্রগুপ্ত নিজ আসনের সামনে, জলচৌকিতে রাখা বৃহৎ খাতাটিতে পেখম নির্মিত কলমটি চালালেন।

প্রথমেই বেরিয়ে এল, প্রাগজ্যোতিষপুরের পশ্চিমে, জামবাড়ী গ্রামের সুপণ্ডিত-নিষ্ঠাবান শৈব ভক্তীশ্বরের নাম।

ধর্মরাজ বললেন, "ভক্তীশ্বরের পরমায়ু আর কতদিন? পাপ-পূণ্য নির্ণয় করা আছে?"

"আমাকে কিঞ্চিৎ সময় প্রদান করুন মহারাজ। আমি তার সমস্ত বৃত্তান্ত আপনাকে দিচ্ছি।"

চিত্রগুপ্ত ডুবে গেলেন তাঁর হিসেবের খাতায়। ধর্মরাজ প্রসন্ন বদনে দরবারের প্রাচীর মধ্যস্থ থাম গুলির দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলেন সেই তন্তুলূকার কথা। সামান্য, তুচ্ছ একটি প্রাণী। অথচ তার কী অসীম ধৈর্য। স্থম্ভিত হতে হয়। তিনি নিজেও যে সর্বদা ধীর-স্থির থাকতে পারেন, এমনটা নয়। সুতরাং সেই হিসেবে প্রাণীটির গুণাবলী তাঁর চেয়েও অধিক। জগতের প্রতিটি প্রাণীই আসলে মনুষ্য সমাজের শিক্ষক।

অর্ধ দণ্ড অতিবাহিত হওয়ার পর, চিত্রগুপ্ত খাতা থেকে মুখ তুললেন, "আজ্ঞে মহারাজ, ভক্তীশ্বর অত্যন্ত সজ্জন এবং সাধু ব্যক্তি সন্দেহ নেই। তিনি নিয়মিত চতুর্দশী, দুর্ব্বাষ্টমী পালন করেছেন। শিবরাত্রি আর জয়ন্তী অষ্টমী পালন থেকে শুরু করে, উপবাস জাগরণ, একাদশী ব্রত সহ আদি যত তিথি, সমস্ত কিছু অত্যন্ত নিরঙ্কুশ ভাবে পালনের জন্য হরগৌরী প্রাপ্ত হয়েছেন।"

চিন্তার জাল কেটে, ভক্তীশ্বরের বিবৃতি শুনে, প্রীত হলেন ধর্মরাজ, "উত্তম সংবাদ।"

"আজ্ঞে অবশ্যই মহারাজ। তিনি সংসার ধর্ম পালনেও একজন প্রকৃত গৃহীর পরিচয় দিয়েছেন। কয়েক বৎসর পূর্বে, দেবী চণ্ডীর আশীর্বাদে হয়েছিলেন একটি পুত্র সন্তানের পিতা। তার দায়িত্বও সাধ্যমতো পালন করেছেন।"

ধর্মরাজ বললেন, "তাহলে তার সারাজীবনে পূণ্য সঞ্চয় ব্যতীত পাপ কিছু নেই?"

"আজ্ঞে না মহারাজ।" খাতা বন্ধ করলেন চিত্রগুপ্ত।

"তাহলে?"

"তাহলে মহারাজ, ভক্তীশ্বরের পরমায়ু আর নেই। তাকে শীঘ্রই আপনার গোচরে এনে দেব। তারপর আপনার বিচার।"

ভ্রু কুঞ্চিত করলেন ধর্মরাজ। "আমার কি আর বিচারের প্রয়োজন আছে চিত্রগুপ্ত? তিনি সারাজীবনের কর্মে আপন বিচার আপনাই করেছেন। তার অতি অবশ্যই স্বর্গলাভ হবে।"

ধর্মরাজ জানেন, গ্রিস দেশের লোকেরা তাঁকে হাদেস বলে ডাকে। রোমানরা রেমাস। নর্সরা যমির। ভারতীয়রা যম। ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নাম। কিন্তু চরিত্র কি অনুবাদ হয়?

একদা মুনি-পুত্র নচিকেতাকে বলেছিলেন, তিনি সেই জ্ঞান জানেন, যা মনুষ্যদের স্বর্গে নিয়ে যায়। জ্ঞানই অন্তহীন জগতের পথ। মোক্ষ লাভ জ্ঞানলাভেই হতে পারে। ভক্তীশ্বরেরও সেই জ্ঞানলাভ পূর্ণ হয়েছে।

প্রতিটি মানুষ যদি নিজ কর্মটি সৎ অসীম ধৈর্যের সঙ্গে, সেই তন্তুলূকার ন্যায় করতে পারে, তাহলে সে নিজের বিচার নিজেই করে। তার জন্য দণ্ডধারী, যমুনার স্বামীকে প্রয়োজন হয় না।

প্রতিটি মানুষের বিচারের পর ধর্মরাজ একবার পিতা সূর্য মাতা সঞ্জনা'র নাম স্মরণ করেন। আজও করলেন। তারপর পরবর্তী নাম শোনবার জন্য আদেশ দিলেন চিত্রগুপ্তকে।

কর্মব্যস্ত সভাস্থলে, প্রচুর প্রাণীর সমাবেশ। অজস্র মনুষ্য মনুষ্যেতর প্রাণীর বিচার এখনও বাকি আছে। এত কাজে ক্লান্ত বোধ করেন তিনি। ঠিক তখনই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সভা মধ্যস্থ জলাকরের ক্লান্তিহীন ওঠানামা। অর্থাৎ আপনার কর্ম। কর্মই সকল ধর্মের মূল। স্বয়ং বিচারের কর্মচারী হয়ে এমন আলস্য এলে, তাঁর বিচার কে করবে?

 

নয়

 ভক্তীশ্বরের গৃহ, জামবাড়ী গ্রাম, প্রাগজ্যোতিষপুরের পশ্চিমভাগ

 

একটি অদ্ভুত আলো বন্ধ গবাক্ষের সরু ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করছে ঘরে। আলো ঊষা না গোধূলির, ভক্তীশ্বর ঠাহর করে উঠতে পারছে না। তবে আলোয় যেন তার জিহ্বার মতোই কোনও স্বাদ নেই।

দূর থেকে, গতজন্মের ওপার থেকে, শঙ্খধ্বনির পবিত্র সুর, এক ঝলক কানে এল ভক্তীশ্বরের। সন্ধ্যা হচ্ছে। রাত আসবে। দীর্ঘ রাত। অথচ এই সাকার ব্রহ্মাণ্ডের ভেতর নিজেকে কেমন একা মনে হয়। রাত্রির ন্যায় একা, অন্ধকার।

সে কী নিয়ে এসেছিল? এখন তার সঙ্গে কী আছে? তার কি যাওয়ার সময় হয়ে এল? কিন্তু সে তো যেতে চায় না। বিচিত্র এই বিধির লীলা বুঝে ওঠা ভার। পুত্র সুখ আরও কিছুদিন ভোগ করতে চায় সে।

বসন্ত কালের বিষণ্ণ বাতাস বইছে বাইরে। কান্তনাথ দাওয়ায় বসে আছে একা। অঙ্গনা রন্ধনশালায় রাতের আহার প্রস্তুত করছে। অদ্ভুত গুমোট হয়ে আছে বাড়িটি। তুলসী তলার সন্ধ্যা প্রদীপ দপদপ করছে বাতাসে।

এইসময় সোমদেব এলেন স্থানীয় ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে। বালক কান্তনাথ তাকে দেখে উঠে দাঁড়াল। সোমদেব বলল, "বাছা কান্তনাথ, তোমার পিতা এখন কেমন আছেন?"

কান্তনাথ মুখ নিচু করে, দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে বলল, "ভাল না। জ্বর ক্রমশ বাড়ছে।"

তিনদিন আগে, এই ওঝাই এসে, অনেক তন্ত্র-মন্ত্র করে গিয়েছিলেন। ভক্তীশ্বরের মস্তকে নানা প্রকার লতাপাতা বেটে অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে মিশ্রণ করে ব্রহ্মরন্ধ্রের উপরিভাগে দেওয়া হয়েছিল। যদি মস্তকের উত্তাপে ওষুধ শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে জ্বর নেমে যাচ্ছে বোঝা যাবে। ওঝা একে ভরণ চিকিৎসা বলেছিলেন। কিন্তু ভক্তীশ্বরের, এই ক্রিয়াকলাপে কোনও উপকার হয়নি।

সকলে ওঝার পেছন পেছন ভক্তীশ্বরের ঘরে প্রবেশ করল। অঙ্গনাও ছুটে এল রন্ধন ফেলে। ওঝা এসেছেন শুনে প্রতিবেশীরাও এল কয়েকজন।

পূর্বেও দু-একজন ওঝা এনেছিল সোমদেব। তারা সঠিকভাবে রোগই নির্ণয় করতে পারেনি। কেউ বলেছিল দৃষ্টি রোগ, কেউ বা সান্নিপাতিক। কিন্তু সারাতে পারেনি কেউই। অগত্যা কিঞ্চিৎ বেশি দক্ষিণা দিয়ে এই ওঝাকে ডেকে এনেছে সে।

কিছুক্ষণ ভক্তীশ্বরকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করলেন ওঝা। তারপর বললেন, "ওষুধ শুকিয়ে গেছে। কিন্তু রোগীর রোগ সারেনি। এবারে পাতি বসানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।"

সকলেই বিস্মিত হল।

"পাতি বসানো মানে কী?" প্রশ্নটা করেই ফেলল কান্তনাথ।

ওঝা, বালকের দিকে তাকিয়ে চমৎকৃত হলেন। চোখে শানিত বুদ্ধি জ্ঞানের আলোক স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তিনি স্নেহের সুরেই বললেন, "বাছা, তোমার পিতার রোগ কিছুতেই সারছে না। আমার মনে হয়েছে তাকে অপদেবতা ভর করেছে। দেখছ না, তিনি মাঝেমধ্যে কেমন প্রলাপ বকছেন! এসব তো তিনি বলছেন না। তাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে। এর জন্য অপদেবতা'র পূজা করতে হবে।"

কথা শুনে ডুঁকরে উঠল অঙ্গনা। বালক কান্তনাথ মা-কে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিতে চাইল। এত অল্প বয়স তার। অথচ কত দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে। সে যেন জানে, তার এখন ভেঙে পড়া চলবে না।

 

দুই রাত্রি তিন দিন কাটল। পূজা চলল প্রতিদিন। কিন্তু অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হল না। জ্বরাসুর আক্রমণ করেছে ভক্তীশ্বরকে। প্রাচীন তন্ত্রবিদ্যায় এই অপদেবতার নাম পাওয়া যায়। ওঝা নিশ্চিত হয়েছেন। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা তার জানা নেই।

তৃতীয় রাত্রে প্রবল বিকার এল। নানাবিধ কথা বলতে লাগল ভক্তীশ্বর। তার চক্ষু লাল হয়ে গিয়েছে। শরীর থেকে ভয়ঙ্কর তাপ প্রবাহ নির্গত হচ্ছে। সে এক-একবার চক্ষু বন্ধ করে, আবার খুলে দেয়। শূন্য দৃষ্টি তাতে। যেন কোনওদিকেই তাকিয়ে নেই। বস্তুজগতের কোনওকিছু গ্রাহ্য করছে না ভক্তীশ্বর।

তার সাবলীল সুন্দর কণ্ঠস্বরও কেমন বদলে গেছে। স্তিমিত স্বরে কথা বলছে কারোর সঙ্গে। কথাগুলি শুনে আঁচলে মুখ চাপা দিয়ে অঙ্গনা ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

"আপনি এসেছেন মহাদেব! আমার কি শেষ সময় আসন্ন? কিন্তু আমি তো এখনই যেতে চাইনি প্রভু! কত কাজ বাকি... গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দেবী চণ্ডিকার মন্দির বানাবে আমার ছেলে... আহ! মা তুমিও এখনই এলে! তোমার শরীরে সেই গন্ধটি নেই কেন? একি... ধর্মরাজের দূত এখানে... ওদের চলে যেতে বলো মা..."

কান্তনাথ পিতার শিয়রের কাছে এসে দাঁড়ালে ভক্তীশ্বর চুপ করে যায়। বৃদ্ধ মোড়ল অন্যদিকে তাকিয়ে চক্ষু মোদেন। এক ফোঁটা জল গড়িয়ে নামে চিবুকে।

হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে ভক্তীশ্বর, "সবাই চলে যাও... তোমরা চলে যাও... আমি এখন কোথাও যাব না... বেরিয়ে যাও এখান থেকে... না না আমি স্বর্গ চাই না... এখানেই আমার স্বর্গ... কী বলছ? মায়া? হতে পারে ... তবুও তোমরা বেরিয়ে যাও..."

ওঝা দ্রুত সকলকেই ঘর থেকে নির্গত হতে পরামর্শ দেন। শুধু অঙ্গনাকে দাওয়া থেকে ঘরে ফিরিয়ে ভক্তীশ্বরের বিছানায় বসতে বলা হয়।

অঙ্গনা এলে, ভক্তীশ্বর আবার চোখ খোলে। জারুল রঙের মিষ্টি একটা শাড়ি দেখতে পায় সে। তাতে ভুঁইচাপা পুষ্পের গন্ধ। অপরাহ্ন পেরিয়ে গেছে অনেকক্ষণ। দিনমণিকে দেখা যাবে না আর কালকের আগে। ঘর সম্পূর্ণ ফাঁকা। একটি প্রদীপ জ্বলছে শুধু গবাক্ষের প্রাচীরে।

ভক্তীশ্বর দেখে, তার সামনে সেদিনের সেই স্বপ্নের দেবী এসে বসেছেন। এমন রূপসী দেবীরাই হয়। কৃষ্ণকালো কুঞ্চিত চুলে বুনো সবুজ গন্ধ। গভীর স্বপ্নের ভেতর থেকে সেই অমৃতের কণ্ঠস্বর একবার ডাকল, "ভক্তীশ্বর!"

আচমকা অপরূপ জ্যোতি ফিরে এল তার চোখে। উপাধান থেকে মাথা তুলে, বুক ভর্তি করে পৃথিবীর সকল প্রশ্বাস টেনে নিয়ে, ধীরে ধীরে ভক্তীশ্বর বলল, "মা...।"

অভিজ্ঞ ওঝা ঘরের বাইরে থেকে বুঝলেন, আগামী কালের দিনমণি আর দেখা হবে না ভক্তীশ্বরের।

চলবে

 


 মূল পাতায় যান

 

 

 

 

 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Comments

Popular posts from this blog

সূচীপত্রঃ শারদ সান্ধ্য জলপাইগুড়ি

বাজারি গপ্পোঃ নিঝুম ঠাকুর