বাজারি গপ্পোঃ নিঝুম ঠাকুর

বাজারি গপ্পো

নিঝুম ঠাকুর

 

 

কয়েকদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধেবেলা বাইরে বের হওয়াই মুস্কিল। সান্ধ্যভ্রমণ করতে পারছি না। আজকে ছাতা মাথায় বের হলাম গগনদা-র চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে। গগনদার দোকানে গিয়ে দেখি অনেকেই আছে। আমি ছাতাটা দোকানের একপাশে রেখে পাকড়াশিবাবুর পাশে বসে গগনদাকে বললাম চা দিতে। গগনদা দুধ জ্বাল দিচ্ছিল।
হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল -'যাঃ তিন কেজি দুধ ফেটে গেল! এখন কী হবে? কয়দিন ধরে ব্যাটা কী যে দুধ দিচ্ছে, কালকে দুধ দিতে আসুক দেখাবো মজাটা!

আমি বিরক্ত হয়ে বললাম – ‘আমি কি চা পাব না? পাব না আমি চা?  

গগনদা বললো -"এই যে দিচ্ছি ভূতুমবাবু।আপনি তো লাল চা খান অসুবিধা হবে না।


গগনদা কাচের গ্লাসে চা এগিয়ে দিলেন। আমি কেবল চায়ে চুমুক দিয়েছি তখনি পাকড়াশিবাবু বলে উঠলেন -"দূর শালা দুধের নিকুচি করেছে, এখনকার দুধ আবার দুধ নাকি? পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগেও এই চার নম্বর ঘুমটির ওখানে প্রতিদিন গ্রামের লোকেরা দুধ বিক্রি করতে আসত। সেই দুধে কোনো ভেজাল ছিল না। দাম ছিল এক-দেড় টাকা কেজি। হয় তো বড়জোর একটু জল মেশাত, তাও ভয়ে ভয়ে। খাদ্য দপ্তর থেকে মাঝে মাঝে ল্যাকটোমিটার দিয়ে দুধের ভেজাল পরীক্ষা করত। মিউনিসিপ্যালিটির মার্কেটে মিউনিসিপ্যাল থেকে লোক এসে খাসি-পাঁঠার মাংসতে শুদ্ধতার সিল মারত। এখন তো এসবের বালাই নেই। "

ফোটনবাবু ফোড়ন কাটলেন -"পাকড়াশিবাবু, দুধের কেজি হয় না লিটার হয়।"
পাকড়াশিবাবু উত্তেজিত হয়ে বললেন-"ছাড়ুন তো মশাই কেজি আর লিটার!"

আমি বললাম – “এ ব্যাপারে আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল কয়েকদিন আগে আপনারা শুনবেন কি?”
সবাই আমার দিকে ঝুঁকে উৎসাহিত হয়ে বললো -"বলুন বলুন আপনার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল ভূতুমবাবু?"

“ক'দিন আগে সন্ধ্যেবেলায় পান্ডাপাড়ার দিকে গিয়েছিলাম একটা বিশেষ কাজে। বৌবাজারের কাছে পৌঁছতেই আমার অফিসের এক প্রাক্তন কলিগের সাথে দেখা। এনার সাথে সচরাচর কেউ দেখা করতে চায় না। বাড়িতে কেউ এনাকে ভুলেও আমন্ত্রণ করতে সাহস দেখায়নি। কারণ ওনার একটাই দোষ যে সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা বা রাত্রি যখনই তিনি যার বাড়িতে যান উনি চা-বিস্কুট বা অন্য কোনো কিছুই খেতে চান না --- এ পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। সমস্যাটা হলো উনি যখনই যার বাড়িতে যখনই যান না কেন ওনাকে ভাত দিতে হবে, ডাল বা আলুসেদ্ধ হলেই চলবে। মাছ,মাংস, ডিমের উনি ধার ধারেন না।
বাড়িতে উনি ছয় ওয়াক্ত ভাত খান। ঠাণ্ডা বা গরম যাই হোক না কেন ভাত পেলেই উনি খুব খুশি!

“ওনার আসল নামটা ব্যবহার না করে সমার্থক একটা নাম দিলাম 'দিবাকর বিশ্বাস' পদবিটা পাল্টালাম না।
  তা দিবাকরবাবুর বাড়ি পাশের গলিতেই। বললেন-'চলুন দাদা বাড়িতে ভাত খাবেন।'
আমি আঁৎকে উঠে বলি – “না না এখন ভাত খাব না, ইয়ে চা খাব।” তা দিবাকরবাবুর সাথে পাশের মিষ্টির দোকানে চা খেতে ঢুকলাম। দোকানে বসে চা সিঙ্গাড়া খাচ্ছি আর গল্প করছি এমন সময় বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ডানহাতে সিঙ্গাড়া আর বাঁ হাতে কাচের চায়ের গ্লাস নিয়ে বেরিয়ে আসলাম চিৎকার চেঁচামেচির উৎস সন্ধানে। ক্যাচালটা হচ্ছে যেদিকে আশেপাশের লোকজন প্রতিদিন বিকেলে দুধ বিক্রি করতে আসে সেদিকে।

তাড়াতাড়ি সিঙ্গাড়া আর চা শেষ করে
  দুজনেই এগিয়ে গেলাম অকুস্থলে। দেখি এক ভদ্রলোককে ঘিরে কয়েকজন দুধওয়ালা যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করছে। আর এক চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা হাত নেড়ে টেড়ে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। তারপর একজনের কাছে আনুপার্বিক ঘটনা শুনেহাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না।

ঘটনাটা হলো এই ওই ভদ্রলোক কাছেই থাকেন। প্রতিদিন বিকেলে উনি দুধের ক্যান নিয়ে দুধ কিনতে আসেন। তা আজকে দুধওলাদের কাছে দাম জিজ্ঞেস করেন -তোমার দুধের দাম কত করে? তারপর পছন্দ মতো দুধ কেনেন। আজকে একজন দুধওয়ালা আসেনি তার জায়গায় তার বৌ এসেছে।

ওই ভদ্রলোক ঐ মহিলার কাছে গিয়ে বলেছিলেন, এই যে তোমার দুধ কত করে? তক্ষণাৎ সেই মহিলা উত্তর দিয়েছিলেন -'এটা আমার দুধ না, আমার গাইয়ের দুধ!’ ভদ্রলোকের কথাটা
 ঐ দুধওয়ালির পাশের দুই দুধ বিক্রেতা  "তোমার দুধ কত করে" শুনে ফেলায় তারা চটে গিয়ে প্রতিবাদ করেছে। ভদ্রলোক কিছু অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করাতে সব দুধ বিক্রেতা গালিগালাজ করছে।ভদ্রলোকের ভদ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

দুধওয়ালি সবাইকে বোঝাবার চেষ্টা করছে যে -'ছঙ্গে ছঙ্গে ভদ্রলোক ছরি বলেচেন।'
কিন্তু কেউ ওর কথায় কান দিচ্ছে না। শেষে ভদ্রলোক দুই হাত মাথার ওপর তুলে চেঁচিয়ে 'সরি সরি ভুল হয়ে গেছে দাদারা, আমি আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।' বলাতে সবাই নানা রকম মন্তব্য করতে করতে শান্ত হলো।

ভদ্রলোক লজ্জায় বুঝি দুধ না নিয়েই চলে যাচ্ছিলেন। দুধওয়ালি দৌড়ে গিয়ে ভদ্রলোকের হাত ধরে বলল- “দুধ না নিয়েই চলে যাচ্ছেন কত্তা? আসেন আমার গাইয়ের দুধ নিয়ে যান। খুব ভালো দুধ কত্তা ! চল্লিশ টাকা কেজি‌‌। কত্টুকু দেব?”

হট্টগোল শেষ হতেই আমি দিবাকরবাবুর চোখ এড়িয়ে কেটে পড়লাম।এবার যদি ভাত খেতে ডাকে! ভাবলাম কেউ কিছু মন্তব্য করার আগেই এখান থেকেও কেটে পড়তে হবে।


“এই হরেনবাবু রোককে!”
  বলেই ছাতাটা নিয়ে ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে বাড়ির দিকে ছুট লাগালাম।


                                            

২ 


সপ্তাখানেক পর সন্ধেবেলায় হাঁটতে বেরিয়েছি। আকাশটা মেঘে কালো হয়ে আছে।শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া বইছে,বেশ ভালোই লাগছে। হাঁটতে হাঁটতে গগনদার চায়ের দোকানের কাছে আসতেই ইচ্ছে হল এক কাপ চা সেবন করার, ভেতরে ঢুকতেই দেখি অভয় ডাক্তার আর ফোটনবাবু চা সেবন করছে। পাকড়াশিবাবু, আর
  গণপতিবাবু এখনও আসেননি। আমি বেঞ্চে বসতে বসতেই গগনদাকে চা দিতে বললাম।

চা  সেবন করতে করতেই দেখি বেশ অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলো।

একটু পরেই
  পাকড়াশিবাবু আর গণপতিবাবু দেখি এই বৃষ্টির মধ্যেই কাকভেজা হয়ে দোকানে ঢুকলেন। গণপতিবাবু ছাতা বন্ধ করে দোকানের বাইরে  বারান্দায় রাখতে রাখতে বললেন -"বাপ রে! দুজনেই ভিজে গেলাম, ছাতা কোনো কাজেই এলো না! গগন বেশ কড়া করে দু কাপ চা বানাও দেখি।",
গগনদা কী একটা বলতে যাচ্ছিল হঠাৎ বজ্র কণ্ঠে
  -"জ্যয় ব্যোমশঙ্কর" শুনে সবাই চমকে বাইরে তাকালাম। দেখি জটাজুটধারী রক্তাম্বর পরিহিত খড়ম পায়ে খটাখট শব্দ তুলে সোজা দোকানের ভেতরে প্রবেশ করলেন কাপালিক সদৃশ এক সন্ন্যাসী। আশ্চর্যের ব্যাপার সন্ন্যাসী বাবাজী একদম ভেজেনি শুধু খড়ম টুকু ভিজেছে। সন্ন্যাসী বাবাজী আমাদের সবাইকে কঠিন দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করে দোকানের প্রতিটি কোণ ভালো ভাবে দেখে বাজখাঁই গলায় বলল-" ওরে আমাকে বসতে দে আর বেশী করে দুধ চিনি দিয়ে ওই যে ওই বড়ো স্টীলের গ্লাস ভর্তি করে চা খাওয়া দিকিনি।"

আমরা পরস্পরের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম, ওনার চা সেবনের দায়িত্বটা কে নেবে! কিন্তু কাউকে দায়িত্ব নিতে হলো না। আমরা কেউ কিছু বলার আগেই গগনদা বলে উঠলেন -"আপনি বসুন মহারাজ, আমি এখনি খুব ভালো করে চা বানিয়ে দিচ্ছি।"

"শ্রেষ্ঠ মানব হও বৎস্য," মহারাজ চায়ে চুমুক দিয়ে  আঃ  বলে গগনদাকে আশীর্বাদ করলেন।

পাকড়াশিবাবু বললেন – “সাধুমহারাজ আপনি কোথা থেকে আসছেন? এই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আসলেন অথচ আপনার চরণযুগল ছাড়া আপনি পুরোপুরি শুকনো এটা কী করে সম্ভব?"

সাধুমহারাজ অট্টহাস্য করে বললেন-"সবই যোগবল বৎস্য সবই যোগবল।"
গণপতিবাবু জিজ্ঞেস করলেন -"আচ্ছা গুরুদেব আপনি কোথায় থাকতেন আর এখানে কী করে এলেন?"
গুরুদেব বললেন -"আমি থাকি কেদারনাথের নিরানব্বই মাইল উত্তর-পূর্ব কোণে হিমালয়ের এক গুহায়। অনেক দিন পর এই মাসখানেক হলো আমি সমতলে নেমে এসেছি।
গণপতিবাবু বেশ উৎসাহিত হয়ে বললেন -"তা এই একমাসের মধ্যে আপনার কী অভিজ্ঞতা হলো যদি বলেন।”


গুরুদেব চায়ে লম্বা চুমুক দিয়ে বললেন
  -"অভিজ্ঞতা অনেক হয়েছে। তবে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়েছে বাঁকুড়ায়। সেদিন ছিল বড্ড গরম।আমি গাছপালাহীন এক মেঠো পথ ধরে হাঁটছি, সঙ্গে ছাতা ছিল না।সেই গরমে হাঁটতে হাঁটতে দেখি দূরে পথের বাঁকে একখানা ঝাঁকড়া গাছ। ভাবলাম ওই গাছের নিচে বসে একটু বিশ্রাম নেব।তা সেই গাছের নিচে পৌঁছে দেখি দুজন চাষী বসে বসে হুঁকো টানছে। আমার খুব আনন্দ হলো, ওদের পাশে বসে বললাম -"আমিও কি দু-টান প্রসাদ পাব?" সঙ্গে সঙ্গে ওরা আমার পায়ে প্রণাম করে আমার দিকে হু়ঁকোটা বাড়িয়ে দিল।


এরপরই ঘটনাটা ঘটল। পাশেই ওদের দু জোড়া বলদ চরছিল। হঠাৎ একটা বলদ ঘাস চিবোতে চিবোতে অন্য বলদ তিনটাকে বলল -"হতচ্ছাড়া কর্তাকে কতদিন ধরে বলছি কাজ হয়ে গেলে আমাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে না রেখে ছেড়ে রাখতে। আজকাল দিন ভালো না। কখন কে ধরে নিয়ে যাবে, কোথায় পাচার করে দেব। দেবে জবাই করে সেই ভয়ে ভালো করে ঘাস খেতে পারি না। ছেড়ে রাখলে অচেনা লোক দেখলেই যাতে পালাতে পারি। ব্যাটাচ্ছেলে কিছুই বুঝতে পারে না।


“আমি বুঝতে পারলাম ওদের ভাষা, কিন্তু কী করে বুঝলাম সেটা দু মিনিট ধ্যান করেই বুঝতে পারলাম যে স্বয়ং দেবাদিদেব আমার মাধ্যমে ওই দুজন চাষী কে বলতে যে বলদগুলোকে ছেড়ে রাখতে। দেবাদিদেব বললেন -"ওরা কেষ্টর জীব মনে রাখিস।"
আমি দুজন চাষীকেই বললাম বলদগুলোকে সব সময় ছেড়ে রাখতে। আমার কথা শুনে চাষী দুজন হাঁউমাউ করে বলল -"না গুরুদেব, ওদের ছেড়ে রাখলে কোথায় কার অনিষ্ট করবে আর কোথায় চলে যাবে তখন অনেক ঝামেলা হবে।"
আমি বললাম – “এই বলদগুলোকে ছুঁয়ে দিলাম এবার আর কোথাও যাবে না। তোমাদের সব কথা এরা এখন থেকে মেনে চলবে, বলে আমি আবার বেরিয়ে পড়লাম।' আর এখন তো আমি তোদের সামনেই আছি দেখতে পাচ্ছিস!”

অনেকক্ষণ ধরে আমি কিছু বলবার জন্য উসখুস করছিলাম, সাধুমহারাজ থামতেই জিজ্ঞেস করলাম -"স্যার,আপনার পূর্বাশ্রমের ব্যাপারে যদি কিছু বলেন, মানে খুব জানতে ইচ্ছে করছে...।"


আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই সাধুমহারাজ আমার দিকে রোষকষাইত চোখে হুঙ্কার ছাড়লেন-"মূর্খ!যে পূর্বাশ্রম ভুলতে আমার পঞ্চাশ বছর লেগেছে সেই অনাসৃষ্টি কথা আবার আমাকে মনে করালি
  পাষণ্ড!তোর নরকেও ঠাঁই হবে না নরাধম! অন্তিমকালে বৈতরণী পার হতে গিয়ে তুই মাঝ বৈতরণীতে গরুর ল্যাজ ফস্কাবি হতচ্ছাড়া কৃমিকীট!”

সাধুমহারাজ মানে আমার স্যার আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল আচমকাই গগনদার ফুটানো দুধের সস্ পেনে চোখ পড়ায় থেমে গেলেন।দেখলাম লোভে চোখ চকচক করছে, তারপর আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললেন"-ওরে নরাধম এই দুধে বেশ পুরুষ্টু হলদে সর জমেছে।এই সবটুকু সর ওই বড় স্টীলের গ্লাসে দুধ ভর্তি করে পাঁচ-ছয় চামচ চিনি দিয়ে যদি খাওয়াতে পারিস তবে তোর বৈতরণী পার হওয়ার বন্দোবস্ত আমি করে দেব।

আমি আর কী করি! গগনদাকে মিউ মিউ করে বললাম দিয়ে দিতে।
গগনদা মাথা ঝাঁকিয়ে বললো- "না না,সর
  জমিয়ে আমি ঘি বানাই ওটা দেওয়া যাবে না।"
শুনে ব্যাটা কাপালিক এমন ভাবে তাকালো যে ভয়ে আমার প্রাণ উড়ে গেল।
আমি গগনদাকে বললাম -"তোমার পায়ে পড়ি গগনদা, তুমি দিয়ে দাও।"
-"ঠিক আছে দিচ্ছি, সরের দাম পঞ্চাশ টাকা আর দুধের দাম পঁচিশ টাকা আর পাঁচ চামচ চিনি পাঁচ টাকা মোট আশি টাকা দিতে হবে!"

আমি আর কী করি, তাতেই রাজি হলাম।


বৃষ্টি প্রায় থেমে এসেছে। সাধুমহারাজ আসিরে বলে আমার পিঠে একটা বিরাশি সিক্কা হাঁকিয়ে বেরিয়ে গেলেন।

গগনদা আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল, "ব্যাটা জালিয়াৎ বলে কিনা যোগবল! ব্যাটার ঝোলায় রেনকোটের কোনা উঁকি মারছিল সেটা আমি দেখিনি বুঝি? ব্যাটা আপনাদের পুরোপুরি ছাগল বানিয়ে গেল ছ্যা ছ্যা ছ্যা ...!”

  

 

মূল পাতায় যান















              














 

Comments

Popular posts from this blog

সূচীপত্রঃ শারদ সান্ধ্য জলপাইগুড়ি